দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : একটু একটু করে স্বপ্ন দেখছিল ডাকাইসিনি, পাবয়া,বনশোল, শ্যামপুর, কালপাইনি গ্রামের দিলীপ, স্বপন, মহাদেব, চিত্তরদের মত কৃষকরা। মাঠের ধান এবার ভালো হয়েছে। ফসলকে কেন্দ্র করে ওদের বেঁচে থাকা। কিন্তু ওদের আনন্দ আজ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। এ যেন পাকা ধানে মই। দলমার দামালরা হানা দিচ্ছে ধান ভর্তি মাঠে। চোখের সামনে বেঁচে থাকার রসদটুকুর ক্ষতি ওদের বুকের পাঁজর ভেঙে দিচ্ছে। ডাকাইসিনির দিলীপ মণ্ডল জানালেন, প্রতিদিন হাতির পায়ের চাপে বিঘার পর বিঘা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বনদপ্তর নজর না দিলে চাষিরা বড় আন্দোলন করবে। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কিষাণ কমিটির সভাপতি অাশুতোষ মুখার্জি জানালেন সরকার বিদ্যুৎ ফেন্সিং সহ ট্রেঞ্চ কেটে হাতি আটকানোর চেষ্টা করছে। সমস্ত ক্ষতিপূরণ বাড়ানো হয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে হাতির অবস্থান
বড়জোড়া রেঞ্জে পাবয়া মৌজায়-৩৭-৩৯টি হাতি রয়েছে। বেলিয়াতোর রেঞ্জের স্বর্গবাতি-১, হরিসপুর-২,বাঁকুড়া উত্তর রেঞ্জের বারমেসিয়া-১টি হাতি আছে।
এই সমস্ত এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে ।